রাজাপুর প্রতিনিধি ॥ ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার চাড়াখালী এলাকা থেকে গরু চুরির অভিযোগে গরুর ব্যাসায়ী সহ দুই জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন বাবুল দাড়িয়া।মামলা নং -১৭। বৃহাস্পতিবার ২২ এপ্রিল উপজেলার চাড়াখালি এলাকার মৃত নকুলে শ^র এর ছেলে বাবুল দাড়িয়া বাদী হয়ে একই এলাকার মৃত :মকুব আলীর ছেলে মো:সোহরাফ হাওলাদার এবং সোহরাফ হাওলাদারের ছেলে মো:কবির হাওলাদারের বিরুদ্ধে গরু চুরির অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মামলা সুত্রে জানাযায়, প্রতিদিনের ন্যায় ১৩ এপ্রিল সকালে বাবুল দাড়িয়া তার পালিত পাঁচ টি গরু পার্শবর্তী মাঠে ঘাস খাওয়ার জন্য ছেড়ে দিয়ে তার কাজে ভান্ডারিয়ায় চলে যায়।ভান্ডারিয়া থেকে এসে বাবুল দাড়িয়া গরুর খোঁজ নিতে মাঠে গিয়ে দেখে তার তিন বছর বয়সের একটি এরে বাছুর মাঠে নেই।কোথাও খুঁজে না পেয়ে এলাকার ঘুদিঘাটা একটি দোকানে জিঙ্গেস করে জানতে পারে যে দুপুর ১২.৫৫ ঘটিকার সময় কবির ও সোহরাফ বিত্রুয়ের জন্য তাদের গুরুর সাথে হাড়িয়ে যাওয়া এরে বাছুরটাও নিয়ে গেছে গালুয়া বাজারের দিকে।বিভিন্ন যায়গায় খোঁজ খবর নিয়ে স্থানীয় গালুয়া বাজারে এসে একটি দোকানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখতে পাই স্থানীয় মামুন ফরাজীর টেম্পুতে করে অন্য দুইটি গরুর সাথে বাবুল দাড়িয়ায় হাড়িয়ে যাওয়া এরে বাছুর টাও নিয়ে গেছে।গরু বহনকারি গাড়ীর ড্রাইভার মামুন ফরাজীর কাছ থেকে বাবুল দাড়িয়া জানতে পারে যে মামুনের গাড়ীতে চুরি হওয়া বাছুর সহ তিনটি গরু ঝালকাঠি ব্রাক মোড় নিয়ে যায়। কবির ও সোহরাফ সেখান থেকে গরু তিনটি একটি পিকআপ ভ্যানে তুলে বরিশালের দিকে নিয়ে যায়। অপরদিকে স্থানীয় সুত্রে জানাযায়,স্বামীকে বাচাঁতে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এস আই শাহ-আলম এর বিরুদ্ধে ডিআইজি বরাবর মিথ্যা নালিশি অভিযোগ করেন অভিযুক্ত কবির হাওলাদারের স্ত্রী সুমা বেগম। রাজাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো:শহিদুল ইসলাম বলেন, বাবুল দাড়িয়ার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে গরু চুরির বিষয়ে প্রাথমিক তদন্তে যায় এস আই শাহ-আলম। স্থানীয়দের তথ্য ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অভিযোগের সত্যতা পায় তদন্তকারি কর্মকর্তা। এরপর স্বামীকে বাঁচাতে এবং পুলিশকে হয়রানি করতে অভিযুক্ত কবির হাওলাদারের স্ত্রী সুমা বেগম তদন্তকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ডিআইজি স্যারের কাছে মিথ্যা অভিযোগ দেয়। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই শাহ-আলম বলেন,আমি ওসি স্যারের নির্দেশে বাবুল দাড়িয়ার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে গরু চুরির বিষয়ে প্রাথমিক তদন্তে ঘটনাস্থানে যাই।স্থানীয়দের তথ্য ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।এরপরে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে অভিযুক্ত কবির হাওলাদারের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করতে তার বাড়ীতে যাই।সেখানে তাকে না পেয়ে আমি থানায় চলে আসি।তারপরে স্বামীকে বাঁচাতে কবির হাওলাদারের স্ত্রী সুমা বেগম আমার বিরুদ্ধে ডিআইজি স্যারের কাছে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ দেয়।
Leave a Reply